ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতের ২৭ রাজ্যের মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও ওয়েবসাইট থেকে।
মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডব্লিউএইচওর গাণিতিক পদ্ধতি বাস্তবতা বিবর্জিত।’
করোনা মহামারিতে বিশ্বে মোট মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশ হয়েছে ভারতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এমন প্রতিবেদনকে অসত্য ও ভুল উল্লেখ করে তা নাকচ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ মানুষের। যা দেশটির সরকারি হিসাবের চেয়ে ১০ গুণ বেশি এবং বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশ।
এদিকে ভারতের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের তথ্য মতে, উল্লেখিত সময়ে দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৬ জনের।
দেশটির স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতের ২৭ রাজ্যের মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও ওয়েবসাইট থেকে।’
মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডব্লিউএইচওর গাণিতিক পদ্ধতি বাস্তবতাবিবর্জিত। এমনটি জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটিতে জন্ম-মৃত্যুর নিয়মিত তথ্য বিশালাকার হওয়ায় বিশ্ব সংস্থাটি যে পদ্ধতি নিয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহে ডব্লিউএইচওর পদ্ধতিতে গাণিতিক ও ফর্মুলাগত ভুল রয়েছে। এমনটি ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন প্রকাশের আগে জানানো হলেও সংস্থাটি তা উপেক্ষা করে এমন অসত্য তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির পর দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় যে পরিমাণ বেড়েছে তা উঠে এসেছে তাদের তথ্যে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ সময় করোনায় বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে এক কোটি ৫০ লাখ মানুষের।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।